নির্বাচন নিয়ে পাতানো খেলা খেলতে দেবো না: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৬:৫৫:৪৪ || পরিবর্তিত: ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৬:৫৫:৪৪

 নির্বাচন নিয়ে পাতানো খেলা খেলতে দেবো না: মির্জা ফখরুল

রাজশাহী প্রতিনিধি: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানুষ জেগে উঠেছে, রাজপথে নেমেছে। রাজপথে এই সরকারকে পতন ঘটিয়ে ঘরে ফিরবো। আওয়ামী লীগ আবারো নির্বাচন নিয়ে পাতানো খেলা খেলতে চায়। আমরা নির্বাচন নিয়ে পাতানো খেলা খেলতে দেবো না।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। নির্বাচন হলে জনগণ ভোট দিতে পারে না, ভোট চুরি হয়ে যায়, ডাকাতি হয়ে যায়। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যায় না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন না করলে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না আমরা।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আটক করে রাখা হয়েছে। এছাড়া হাজার হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় নিম্ন আদালতে গেলে জামিন দেওয়া হয় না। মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে রাখা হয়েছে। আজকে রোড মার্চ শুরু হলো, আর এ কর্মসূচি সেদিন শেষ হবে যে দিন এ সরকারের পতন হবে।

ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগে তারুণ্যের রোডমার্চ করেছে বিএনপির তিন সংগঠন। রোডমার্চের দ্বিতীয় দিন বগুড়া থেকে শুরু করে রাজশাহীতে গিয়ে শেষ হয়। প্রায় ১২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে চারটি পথসভাসহ ছয়টি স্থানে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বক্তব্যে বিএনপির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, রোডমার্চ থেকে একটা বার্তা দিতে চাই, আসুন, জেগে উঠুন, এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করুন।

তারা আরো বলেন, আজকে জনগণের অবস্থান একদিকে, ভোটচোরেরা অন্যদিকে। ভোটচোরের আস্থানা গুড়িয়ে দিতে হবে। একই সাথে সরকারের পতন ঘটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতা।

রাজশাহী মাদরাসা মাঠে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মুহিত তালুকদার এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পথ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম জিলানী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান। অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, বগুড়া শহর বিএনপির সভাপতি এ্যাড. হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, জেলা বিএনপির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাহাফুজুল হক টিকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান লিখন, সান্তাহার পৌর বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্ট সহ বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, তাঁতীদল, মৎস্যজীবি দল, শ্রমিক দল, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

রোববার বেলা পৌনে ১২টায় বগুড়ায় এরুলীয়া থেকে এ রোডমার্চ শুরু করে বিএনপির সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল। রোডমার্চে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল নিয়ে অংশ নেন। দীর্ঘ পথমালায় রাস্তা দুই পাশের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে রোডমার্চের বহরকে স্বাগত জানান। এ সময় বিএনপি মহাসচিব হাত নেড়ে জনগণের অভিবাদনের জবাব দেন। পথে পথে আশপাশের জেলা থেকে শত শত নেতাকর্মী রোডমার্চে যোগ দেন। জনতার ভিড় ঠেলে রোডমার্চের বহর রাজশাহীতে পৌঁছায় সন্ধ্যা পৌনে ৭টায়। সাড়ে ৭ ঘণ্টায় সময় লাগে রাজশাহী সমাবেশ এসে পৌঁছাতে। প্রথম দিন শনিবার রংপুর থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার রোডমার্চ করা হয়। 


প্রজনমনিউজ২৪/এসআই

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ